আর মাত্র একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগ করে নিতে শেষ সময়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট হয়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অসংখ্য মানুষ ব্যাপক হারে ঘরে ফিরছেন।
কর্মমূখী মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ, পিপিএম(সেবা)।
১৫ জুন, শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনকালে ঘরমুখী যাত্রী, পরিবহন মালিক প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি, যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা, চুরি, ছিনতাইসহ সকল ধরনের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তীব্র রোদ গরমে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে নদী পার হয়ে ঘাটে এসে যাত্রীদের যাতে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে না হয় সে জন্য বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি বাড়তি কাউন্টার খোলা হয়েছে। নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে ভাড়া। কাউন্টারগুলো হতে যাত্রীরা সহজেই নিজ নিজ জেলার বাসে উঠে যাচ্ছেন।
এছাড়া কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে না। এতে করে ঘরমুখো সাধারন যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাত্রীদের সার্বিক কল্যাণে ঘাটে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
এ সময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম, গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাট সুত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৮টি ফেরি ও ২০ টি লঞ্চ চলাচল করছে। সেই সাথে ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে ৩ দিন ও পরের ৩ দিন সর্বমোট ৭ দিন পন্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরী পচনশীল মালামাল বাহি ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকবে। এছড়া ঈদের আগে ও পরে পর্যন্ত নদী বন্ধ থাকবে বালুবাহি বাল্কহেড চলাচল।