ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে কোরবানির পশুর হাট বেড়েছে ক্রেতার সমাগম

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে এখনও আশানুরূপ বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানাচ্ছেন খামারিরা। তবে এখনও পুরোপুরি জমে না উঠলেও, আগামী দুই হাটে ক্রয়-বিক্রয়ের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৭৭০৮টি ছোট বড় খামারে ৮৯, ৫৬৬টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলাতেই চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৩,৮১৬টি কোরবানির পশু রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।

জানা গেছে, জেলার ২৩টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। যার মধ্যে ১৬টি স্থায়ী ও ৭টি অস্থায়ী। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান ও রোগ নির্ণয়ের জন্য ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

শনিবার (২৪শে মে) দুপুরে রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী কুঠির হাটের ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দুরান্ত থেকে নছিমন, পিকআপ গাড়ী যোগে কোরবানির পশু গরু, ছাগল নিয়ে বাজারে এসেছেন খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা। পশুর হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা ও খামারিদের উপস্থিত বেশি চোখে পড়ে। কেউ আদরের গরুটাকে নিজ হাতে কাচা ঘাস খাইয়ে দিচ্ছেন। কেউ বা আবার ছাগলের গলার রশি হতে দাড়িয়ে আছেন।

ছাগল বিক্রেতা মো: আব্দুল খালেক শেখ বলেন, তার স্ত্রীর গত দেড় বছর যাবৎ একটি খাসি (ছাগল) লালন পালন করেছে। যার ওজন (লাইভ) ৬০ কেজির উর্দ্ধে। বাজারে ছাগলটির দাম ৪০হাজার টাকার বেশি না হওয়ায় বিক্রি না করেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

একাধিক খামারি বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খৈল, ধানের কুঁড়া ও ভুট্টা দিয়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে খামারে পশু মোটাতাজা করণে করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বেড়েছে পশু মোটাতাজাকরণে খরচ। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম বেশি। অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামের কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু।

কুঠির হাট গো-হাটের ইজারাদার পক্ষের মো: মামুন হাওলাদার বলেন, বছরের প্রতি সপ্তাহের শনিবার এ হাতে পশু বেচা কেনা করা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার হাট বার রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলেও ক্রেতার সমগম কম। এ হাতে পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তার উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও হাট কমিটির পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশের নির্দেশে সদর থানার আওতাধীন সকল পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তায় মলমপার্টি, ছিনতাইকারী, জাল নোট ব্যবহারকারীদের ধরতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক জানান, কোনো ভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ পেলে জরিমানা সহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।

ট্যাগস :

এক গুচ্ছ কদম হাতে

রাজবাড়ীতে কোরবানির পশুর হাট বেড়েছে ক্রেতার সমাগম

আপডেট সময় ১০:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে এখনও আশানুরূপ বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানাচ্ছেন খামারিরা। তবে এখনও পুরোপুরি জমে না উঠলেও, আগামী দুই হাটে ক্রয়-বিক্রয়ের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৭৭০৮টি ছোট বড় খামারে ৮৯, ৫৬৬টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলাতেই চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৩,৮১৬টি কোরবানির পশু রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।

জানা গেছে, জেলার ২৩টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। যার মধ্যে ১৬টি স্থায়ী ও ৭টি অস্থায়ী। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান ও রোগ নির্ণয়ের জন্য ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

শনিবার (২৪শে মে) দুপুরে রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী কুঠির হাটের ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দুরান্ত থেকে নছিমন, পিকআপ গাড়ী যোগে কোরবানির পশু গরু, ছাগল নিয়ে বাজারে এসেছেন খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা। পশুর হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা ও খামারিদের উপস্থিত বেশি চোখে পড়ে। কেউ আদরের গরুটাকে নিজ হাতে কাচা ঘাস খাইয়ে দিচ্ছেন। কেউ বা আবার ছাগলের গলার রশি হতে দাড়িয়ে আছেন।

ছাগল বিক্রেতা মো: আব্দুল খালেক শেখ বলেন, তার স্ত্রীর গত দেড় বছর যাবৎ একটি খাসি (ছাগল) লালন পালন করেছে। যার ওজন (লাইভ) ৬০ কেজির উর্দ্ধে। বাজারে ছাগলটির দাম ৪০হাজার টাকার বেশি না হওয়ায় বিক্রি না করেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

একাধিক খামারি বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খৈল, ধানের কুঁড়া ও ভুট্টা দিয়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে খামারে পশু মোটাতাজা করণে করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বেড়েছে পশু মোটাতাজাকরণে খরচ। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম বেশি। অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামের কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু।

কুঠির হাট গো-হাটের ইজারাদার পক্ষের মো: মামুন হাওলাদার বলেন, বছরের প্রতি সপ্তাহের শনিবার এ হাতে পশু বেচা কেনা করা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার হাট বার রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলেও ক্রেতার সমগম কম। এ হাতে পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তার উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও হাট কমিটির পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশের নির্দেশে সদর থানার আওতাধীন সকল পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তায় মলমপার্টি, ছিনতাইকারী, জাল নোট ব্যবহারকারীদের ধরতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক জানান, কোনো ভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ পেলে জরিমানা সহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।