পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সব থেকে বড় পশুর হাট কুঠির হাট সহ প্রায় প্রতিটি পশুর হাট শেষ সময়ে জমে উঠেছে। আর এ সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠা কোরবানির পশুর হাটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পশু ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের রয়েছে কড়া নজরদারি।
১৫ই জুন, শনিবার রাজবাড়ী সদর থানাধীন কুটিরহাট এলাকায় পশুর হাট পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ, পিপিএম(সেবা)। হাট পরিদর্শন কালে পুলিশ সুপার পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রতাদের নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে বেচা- কেনায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ীতে বেশ কিছু পশুর হাট বসেছে। সবগুলো হাটে পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি, জাল টাকা শনাক্ত ও টাকা পরিবহনে সহায়তার জন্য রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের বিট অফিসারের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশি নজরদারি রয়েছে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, যেকোন পুলিশি সেবা নিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রাজবাড়ী-০১৩২০১০২২৯৮ নম্বরে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
জানা গেছে, জেলায় মোট স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ২৯টি কোরবানীর গবাদী পশুর হাট বসেছে। প্রত্যেকটি হাটের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ১১ই জুন থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত জেলা পুলিশের এই তৎপরতা থাকবে। পশুর হাটে ছিনতাই, চুরি, প্রতারণা রোধের জন্য প্রত্যেকটি হাটে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এছাড়াও হাট কর্তৃপক্ষকে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন রাখার জন্য বলা হয়েছে।
জেলার প্রতিটি পশুর হাটে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের এমন কর্মকান্ডকে স্বাগত জানিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কুঠির হাটে উপস্থিত ক্রেতা বিক্রেতাগণ।
এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ ইফতেখারুল আলম প্রধান, ডিবির ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান খান সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ১২ই জুন দিনব্যাপী রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উদ্যোগে হাট-বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যাংকের গ্রাহকদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। প্রত্যেকটি থানার টিম তাদের স্ব-স্ব এলাকায় হাট-বাজার, ব্যাংক গুলোতে সচেতনতামূলক সভা করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পশুর হাট জেলা পুলিশের ব্যাংক পরিদর্শন সহ পাশাপাশি টহল কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।