‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ করার লক্ষ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম ক্যাম্পেইনের উদ্ধোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর কমিউনিটি ক্লিনিক চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ মেহেদী মাসুদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) মো: প্লাবন আলী।
অনুষ্ঠানের দিক সকালে সোনাকান্দর কমিউনিটি ক্লিনিকে উদ্ধোধনের পর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের চরনারায়পুর এলাকা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, মহাদেবপুুর ফজলুর বাড়ী, দূর্গাপুর জয়নালের বাড়ীতে এ সম্পকিত সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন করা হয়। এ সময় মিজানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্ম ও মৃত্যু সনদ গ্রহণকারী নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সদস্য, গ্রাম পুলিশ, চেয়ারম্যান ও ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাগনকে জরুরী ভিত্তিতে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধনে বিনা ব্যর্থতায় শতভাগ জন্ম এবং ৫০ % মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এ ক্যাম্পেইন। শিশু জন্মের পর ১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানের ইউপি চেয়ারম্যান মো: প্লাবন আলী বলেন, প্রথম ডোজ টিকার কার্ডে জন্ম নিবন্ধন নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক। জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হবে না। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ ধারা ৮ (১) অনুযায়ী শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের জন্য বাধ্যতামূলক।
তিনি আরো বলেন, শিশু জন্মের পরপর টিকা কেন্দ্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্রে ইনফরমেশন জানালে জন্ম নিবন্ধন সনদ ঘরে পৌঁছে যাবে। মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড বিধান রয়েছে।