সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরণের কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজবাড়ীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে জেলার বিভিন্ন কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ীর বড়পুল মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী প্রেসক্লাব চত্ত্বর প্রদিক্ষণ করে শহরের রেলগেটস্থ শহীদ স্মৃতি চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘মেডিকেলে কোটা কেন? জবাব দে ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাইদুজ্জামান সাকিব, ফাহাদুল ইসলাম, মিরাজুল মাজিদ তুর্জ, মাহাদি, ছাত্র শেখ মো: সজিবুল ইসলাম, আফরিন, নাইমুল, তুষার, আমিনুল, প্রভা, সাদিয়া, নওরীন, পিয়াস, নাঈম সহ দুই শতাধি শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার ছাত্র শেখ মো: সজিবুল ইসলাম বলেন, শুধু কোটার কারণে একজন শিক্ষার্থী ৪৩ পেয়েও মেডিকেলে চান্স পেয়েছে কিন্তু আমি ভর্তি পরীক্ষায় ৭১ পেয়েও চান্স পায়নি। ৪ঠা আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনে এতো রক্ত, এতো প্রাণ গেলো তারপরও কী কোটা সংস্কার হলো না। আমরা এমন দেশ চাই না। আমার রক্ত যদি লাগে আরো দিবো, আমার বাবা-মা সহ পুরো দেশের ছাত্ররা রক্ত দিয়ে দিবে, কোটা থাক এটা চাই না। প্রয়োজনে কোটার জন্য রাজপথে আবার আন্দোলন করতে হয়, জীবন দিতে হয় দিবো। কিন্তু এই কোটা বাতিল করেই ছাড়বো।
বিক্ষোভে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ পেয়েছে। ফেসিস্ট সরকারের মতো ছাত্রজনতার সরকারও সেই কোটা বহাল রেখেছে। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি অতি শিগগিরই এই কোটা প্রথা বাতিল করা হোক। নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করা হোক সেখানে যেনো কোনো কোটা না থাকে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেনো মেধায় এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়, না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবো।
উল্লেখ্য যে, দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারও শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় ৪১ নম্বর থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।