সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ৫৬ টি দূর্গা পূজা মন্ডপে এ পূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। দিনরাত দিয়ে চলছে প্রতিমার গায়ে রঙের আঁচড়।
সরেজমিনে কালুখালী উপজেলার কয়েকটি মন্দির ঘুরে দেখা যায়, মন্দিরে কারিগররা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একনিষ্ঠ চিত্তে নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মাটি লাগানোর কাজ শেষে এখন চলছে প্রতিমায় রংতুলির ছোঁয়া ও সাজসজ্জার কাজ।
উপজেলার খাগজানা কর্মকার বাড়ির প্রতিমা শিল্পীরা জানায়, তারা বিগত ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছে। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা তৈরির কাজ করেন তারা। তবে দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিল্পীদের। এবছর প্রতিমার চাহিদা গত বছরের তুলনায় একটু কম।
কালুখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজয় কুমার বসু জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৫৬ মন্ডপ ও মন্দিরে দুর্গোৎসবের যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ চলছে। দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপ এলাকায় সর্বোচ্চ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপে বিশেষ নজর রাখা হবে।
কালুখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মহুয়া আফরোজ জানায়, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পূজায় সকল মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।