ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ায় নদীর ভাঙনে দিশেহারা পদ্মা পাড়ের মানুষ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে আবারো দেখা গিয়েছে নদী ভাঙন। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি ও তীব্র স্রোত। এতে করে সৃষ্ট ভাঙনে দিশেহারা হড়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ভাঙন আতঙ্ক, বসতঘর সুরক্ষায় তাদের চোখে নেই রাতের ঘুম।

দৌলতদিয়ার পদ্মা পাড়ের ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় তেমন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-১ নম্বর ফেরি ঘাটে ও লঞ্চ ঘাটের পাশেই নতুন পাড়া, দৌলতদিয়া ৪, ৬ ও ৭নম্বর ফেরি ঘাটের মাঝে ছাত্তার মেম্বার পাড়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের জামে মসজিদটি। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটা বসত ঘর সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

জানা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট এলাকায় গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটারের উপরে বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরী ঘাট সংলগ্ন সাত্তার মেম্বার পাড়ায় ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের অর্থ দিয়ে বালু ভর্তি বস্তা ফেলছে স্থানীয়রা।

বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দৌলতদিয়ায় সাতটি ফেরী ঘাটের আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে সেটা আমরা জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষা করতে চেষ্টা করি। তাছাড়া প্রতি বছর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। ঘাট রক্ষায় যে কাজগুলো লাগবে সেটাই বিআইডব্লিউটিএ করে থাকে। আমরা আজ ঘাটে ভাঙন কবলিত স্থান দেখতে এসেছি। ঘাট রক্ষার জন্য কিছু করতে হলে আমরা করবো।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়ার ৬নম্বর ঘাটের সাত্তার মেম্বার পাড়ায় যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেই বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করি।

এক গুচ্ছ কদম হাতে

দৌলতদিয়ায় নদীর ভাঙনে দিশেহারা পদ্মা পাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৫:০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে আবারো দেখা গিয়েছে নদী ভাঙন। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি ও তীব্র স্রোত। এতে করে সৃষ্ট ভাঙনে দিশেহারা হড়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। ভাঙন আতঙ্ক, বসতঘর সুরক্ষায় তাদের চোখে নেই রাতের ঘুম।

দৌলতদিয়ার পদ্মা পাড়ের ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় তেমন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-১ নম্বর ফেরি ঘাটে ও লঞ্চ ঘাটের পাশেই নতুন পাড়া, দৌলতদিয়া ৪, ৬ ও ৭নম্বর ফেরি ঘাটের মাঝে ছাত্তার মেম্বার পাড়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের জামে মসজিদটি। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটা বসত ঘর সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

জানা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট এলাকায় গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটারের উপরে বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরী ঘাট সংলগ্ন সাত্তার মেম্বার পাড়ায় ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের অর্থ দিয়ে বালু ভর্তি বস্তা ফেলছে স্থানীয়রা।

বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দৌলতদিয়ায় সাতটি ফেরী ঘাটের আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে সেটা আমরা জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষা করতে চেষ্টা করি। তাছাড়া প্রতি বছর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। ঘাট রক্ষায় যে কাজগুলো লাগবে সেটাই বিআইডব্লিউটিএ করে থাকে। আমরা আজ ঘাটে ভাঙন কবলিত স্থান দেখতে এসেছি। ঘাট রক্ষার জন্য কিছু করতে হলে আমরা করবো।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়ার ৬নম্বর ঘাটের সাত্তার মেম্বার পাড়ায় যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেই বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করি।