ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ার অন্ধগলির নারী-শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে ‘আলো’ প্রোগ্রাম

  • শামীম শেখ:
  • আপডেট সময় ১০:১৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি- যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী (পূর্ব পাড়া) অবস্থিত। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এ পল্লীর অবহেলিত নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন ও আলোকিত জীবনের পথ দেখাচ্ছে অলটারনেটিভ লাইভলিহুড অপরচুনিটি (আলো) প্রোগ্রাম।

যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের ভাগ্যের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) ২০২১ সাল হতে বিগত ৪ বছর ধরে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে। গত জুন মাসে শেষ হয় প্রোগ্রামের সময়সীমা।

এ উপলক্ষ্যে ৩০শে জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়ায় মুক্তি মহিলা সমিতির হলরুমে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে প্রোগ্রামের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্তি মহিলা সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মন্জু ও আলো প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর আখি আক্তার।

সভায় বিগত ৪ বছরে ‘আলো’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পল্লী ও এর আশপাশ এলাকার অন্তত ৫ শতাধিক শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সচেতনতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান সহ বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নারীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।

আলোচনা পর্বে ইউএনও সহ সকল সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধিবৃন্দ ‘আলো’ প্রোগ্রামকে অবহেলিত যৌনপল্লীর নারী-শিশুদের জন্য আলোক বর্তিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেই সাথে প্রকল্পের কার্যক্রম আগামীতেও যাতে চলমান থাকে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, আমরা এখানকার নারী ও শিশুদের কল্যাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করেছি। ভালো ভালো অর্জনও এসেছে। তবে এ কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তা না হলে পল্লীর নারীর -শিশুরা আবারো অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী সহযোগি সংস্থাগুলো আবারো আমাদের পাশে দাড়াবে। তারা সেভাবেই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

সভায় অন্যান্যের গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আহমেদ তিথী, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান , যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, শিক্ষাবিদ নির্মল কুমার চক্রবর্তী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, প্রকল্পের সুবিধাভোগী পল্লীর কয়েকজন নারী ও শিশু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এক গুচ্ছ কদম হাতে

দৌলতদিয়ার অন্ধগলির নারী-শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে ‘আলো’ প্রোগ্রাম

আপডেট সময় ১০:১৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী (পূর্ব পাড়া) অবস্থিত। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এ পল্লীর অবহেলিত নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন ও আলোকিত জীবনের পথ দেখাচ্ছে অলটারনেটিভ লাইভলিহুড অপরচুনিটি (আলো) প্রোগ্রাম।

যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের ভাগ্যের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) ২০২১ সাল হতে বিগত ৪ বছর ধরে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে। গত জুন মাসে শেষ হয় প্রোগ্রামের সময়সীমা।

এ উপলক্ষ্যে ৩০শে জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়ায় মুক্তি মহিলা সমিতির হলরুমে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে প্রোগ্রামের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্তি মহিলা সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মন্জু ও আলো প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর আখি আক্তার।

সভায় বিগত ৪ বছরে ‘আলো’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পল্লী ও এর আশপাশ এলাকার অন্তত ৫ শতাধিক শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সচেতনতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান সহ বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নারীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।

আলোচনা পর্বে ইউএনও সহ সকল সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধিবৃন্দ ‘আলো’ প্রোগ্রামকে অবহেলিত যৌনপল্লীর নারী-শিশুদের জন্য আলোক বর্তিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেই সাথে প্রকল্পের কার্যক্রম আগামীতেও যাতে চলমান থাকে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, আমরা এখানকার নারী ও শিশুদের কল্যাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করেছি। ভালো ভালো অর্জনও এসেছে। তবে এ কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তা না হলে পল্লীর নারীর -শিশুরা আবারো অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী সহযোগি সংস্থাগুলো আবারো আমাদের পাশে দাড়াবে। তারা সেভাবেই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

সভায় অন্যান্যের গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আহমেদ তিথী, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান , যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, শিক্ষাবিদ নির্মল কুমার চক্রবর্তী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, প্রকল্পের সুবিধাভোগী পল্লীর কয়েকজন নারী ও শিশু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।