রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুরে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে বিডিআর বিদ্রোহে চাকুরীচ্যুত অভিযুক্ত দিলু মিয়াকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৪শে আগস্ট) বিকেলে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগীরা সহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কয়েকশত সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
এ মানববন্ধনে কর্মসূচিতে দিলু মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন ভোক্তভোগীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তার মারপিটের শিকারে স্থানীয় সিরাজুর রহমান ঝন্টু নামে এক ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যু বরণ করার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়া সালিশের নামে চাঁদা আদায়, থানায় দালালী, অপরের জমি দখল, কিশোর গং পরিচালনা এমনকি মসজিদ দখলের অভিযোগও রয়েছে এ দিলু মিয়ার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত দিলু মিয়া ইসলামপুর ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়ীতে থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার পরিচয়ে চালাতো এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর পলাতক রয়েছে দিলু মিয়া। তাকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলে ধরেন মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী সাইদুল ইসলাম, খন্দকার মঞ্জুরুল হক মুন্নু, খন্দকার সিরাজর রহমান, মো: রকিবুল রহমান, মো: মনোয়ার শেখ, মো: মিজানুর রহমান, মো: মজিবর রহমান, মো: মিরাজ মন্ডল সহ প্রমুখ।
ভূক্তভোগী মো: মজিবর রহমান জানান, বাড়ীর পাশেই তার একটি কারখানা আছে। দিলু মিয়া তার কাছে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করলে এক পর্যায়ে তিনি ১লক্ষ টাকা চাঁদা দেন। কিন্তু আরো ৪লক্ষ চাঁদার টাকা না পেয়ে তার কারখানাটি বন্ধ করে দেয় দিলু মিয়া।
ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দিলু মিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় বিভিন্ন সময়ে এলাকায় হামলা, লুটতরাজ, চাঁদা আদায় করাসহ তাদেরকে করেছে নির্যাতন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সে নিজে ছাত্র জনতার হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজস্ব লোকজন দিয়ে তার বাড়ী ভাংচুর করায়। পরবর্তীতে সে গ্রামের ২১জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ১৫/২০জন দিয়ে মামলা দায়ের করে।