কুষ্টিয়ায় ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনে খেলাপী ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যানার হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র কুষ্টিয়া শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার (৩০শে নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়ার ১৬/২ কেরামত মাস্তান লেন, নতুন কোটপাড়া এলাকায় আব্দুল জলিল মন্ডল এর ছেলে ঋণ গ্রহিতা মোশাররফ হোসেনের নিজ বাড়ির নিচেই এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সাবিনা সুলতানা, কুষ্টিয়া বড়বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এনামুল হক সহ অন্তত ২০ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ গ্রহণ করেন।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালে বাড়ি নির্মাণের জন্য মোশারফ হোসেন কুষ্টিয়া বড়বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখা ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মাত্র দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। বাকি আর কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ করা হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বাড়ির সামনে এমন কর্মসূচি দেখতে আশপাশের বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। তাঁরা ব্যতিক্রম এই কাজ দেখে কারণ জানতে চান। পরে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি সবাইকে অবগত করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকাণী অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া বড়বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এনামুল হক বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে এই প্রথম খেলাপি ঋণ আদায়ে গ্রহীতার বাড়ির সামনে ব্যতিক্রমী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। ঋণ গ্রহণের পর বেশির ভাগ মানুষ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সেই ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করেন। এ রকম আরও কয়েকজন গ্রহীতা রয়েছেন।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সাবিনা সুলতানা বলেন, বড় বড় ঋণগ্রহীতারা সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ, তাঁদের সামাজিক অবস্থান রয়েছে। তাঁদের অনেকেই ঋণখেলাপি। শত চেষ্টা করেও তাঁদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। সমাজের সামনে তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করে সামাজিক চাপ প্রয়োগের জন্যই তাঁরা এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতার বাড়ির সামনেও এমন কর্মসূচি পালন করা হবে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ঋণ গ্রহীতা মোশাররফ হোসেনের মোবাইলের ফোন দিলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।