ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩জন কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম কুত্তাঝিরি এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় কেএনএ’র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে করে কেএনএ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ৩জন কেএনএ সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে, উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনী কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ০১ টি চাইনিজ রাইফেল, ২টি একনলা বন্দুক, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ইউনিফর্ম, বেতারযন্ত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ঔষধসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়া কেএনএ সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। এই দলের সদস্যরাই এখন পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।

ট্যাগস :

এক গুচ্ছ কদম হাতে

বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩জন কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত

আপডেট সময় ০৮:২১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম কুত্তাঝিরি এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় কেএনএ’র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে করে কেএনএ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ৩জন কেএনএ সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে, উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনী কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ০১ টি চাইনিজ রাইফেল, ২টি একনলা বন্দুক, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ইউনিফর্ম, বেতারযন্ত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ঔষধসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়া কেএনএ সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। এই দলের সদস্যরাই এখন পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।