ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বালিয়াকান্দির বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ব্যাচ ১৯৮৮ এর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ী ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল Logo বালিয়াকান্দিতে বিএনপি’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রাজবাড়ীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo আগামী নির্বাচনে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে-এ্যাডঃ আসলাম মিয়া Logo রামকান্তপুর ইউনিয়নে ১১০১টি পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ Logo বানিবহ ইউনিয়নে ১১৬৭টি দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ Logo রামকান্তপুর ইউপি’র মাটিপাড়া বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ
সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া মেলা

বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

‘ক্রীড়ার ঐহিত্যে ফিরে আসুক বান্দরবান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে ঐহিত্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩শে নভেম্বর) সকালে বান্দরবান সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় সাঙ্গু নদীর উজানিপাড়া সমিল ঘাটে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বান্দরবান সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাউছার, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম ও উবাথোয়াই মারমা সহ জেলা প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৈঠা চলছে সমান তালে, সঙ্গে প্রতিযোগিদের হই-হুল্লোড়ের ছন্দ। শোনা যায় জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। নদীর দুই পাড় জুড়ে হাজারো দর্শকের সমাগম। শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ নদীর দুই পাড়ে ভিড় করে আছেন। এ যেন সাঙ্গু নদীর বুকে আনন্দের ঢেউ খেলা করছে। নদীমাতৃক আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে এমনই এক নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১৮টি দলের মধ্যে ১১টি পুরুষ দল ও ৭টি মহিলা দলে মোট ১৪৪জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে। বাইচের প্রতিটি নৌকায় ৮ জন মাঝি বৈঠা হাতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৮নম্বর দলের দলনেতা মেসিংচিং মারমা বলেন, আমরা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এখানকার আয়োজন খুব সন্তোষজনক। এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মানুষের আনন্দ দিতে পেরেছি, এখানেই আমাদের সার্থকতা।

আয়োজক কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বাবুল বলেন, নৌকা বাইচ বাংলাদেশের হাজারো বছরের একটি ঐতিহ্য। তবে এখন তা বিলুপ্তির পথে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মানুষকে আনন্দ দিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক নিনিপ্রু মারমা জানান, যুবসমাজকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বান্দরবান সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী নৌকাবাইচ, প্রীতি ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিকস, বলিখেলা, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহনসহ মোট ১১টি খেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্ধোধনী দিনের প্রথম প্রতিযোগিতা নৌকা বাইচ।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সাঙ্গু নদীর তীরে পাহাড়ি-বাঙ্গালীসহ পর্যটকদের অংশগ্রহণে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। দর্শনার্থীরা নেচে গেয়ে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন এবং আগামীতে এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আয়োজকদের প্রতি আহব্বান জানান।

ট্যাগস :

বালিয়াকান্দির বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ব্যাচ ১৯৮৮ এর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত

সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া মেলা

বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘ক্রীড়ার ঐহিত্যে ফিরে আসুক বান্দরবান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে ঐহিত্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩শে নভেম্বর) সকালে বান্দরবান সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় সাঙ্গু নদীর উজানিপাড়া সমিল ঘাটে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বান্দরবান সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাউছার, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম ও উবাথোয়াই মারমা সহ জেলা প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৈঠা চলছে সমান তালে, সঙ্গে প্রতিযোগিদের হই-হুল্লোড়ের ছন্দ। শোনা যায় জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। নদীর দুই পাড় জুড়ে হাজারো দর্শকের সমাগম। শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ নদীর দুই পাড়ে ভিড় করে আছেন। এ যেন সাঙ্গু নদীর বুকে আনন্দের ঢেউ খেলা করছে। নদীমাতৃক আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে এমনই এক নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১৮টি দলের মধ্যে ১১টি পুরুষ দল ও ৭টি মহিলা দলে মোট ১৪৪জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে। বাইচের প্রতিটি নৌকায় ৮ জন মাঝি বৈঠা হাতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৮নম্বর দলের দলনেতা মেসিংচিং মারমা বলেন, আমরা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এখানকার আয়োজন খুব সন্তোষজনক। এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মানুষের আনন্দ দিতে পেরেছি, এখানেই আমাদের সার্থকতা।

আয়োজক কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বাবুল বলেন, নৌকা বাইচ বাংলাদেশের হাজারো বছরের একটি ঐতিহ্য। তবে এখন তা বিলুপ্তির পথে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মানুষকে আনন্দ দিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক নিনিপ্রু মারমা জানান, যুবসমাজকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বান্দরবান সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী নৌকাবাইচ, প্রীতি ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিকস, বলিখেলা, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহনসহ মোট ১১টি খেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্ধোধনী দিনের প্রথম প্রতিযোগিতা নৌকা বাইচ।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সাঙ্গু নদীর তীরে পাহাড়ি-বাঙ্গালীসহ পর্যটকদের অংশগ্রহণে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। দর্শনার্থীরা নেচে গেয়ে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন এবং আগামীতে এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আয়োজকদের প্রতি আহব্বান জানান।