ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বালিয়াকান্দির বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ব্যাচ ১৯৮৮ এর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে এনসিপি’র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রাজবাড়ী ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল Logo বালিয়াকান্দিতে বিএনপি’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রাজবাড়ীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo আগামী নির্বাচনে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে-এ্যাডঃ আসলাম মিয়া Logo রামকান্তপুর ইউনিয়নে ১১০১টি পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ Logo বানিবহ ইউনিয়নে ১১৬৭টি দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ
বেড়েছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাটে ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩হাজার পরিবার পানি বন্দি

লালমনিরহাট: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ডুবে গেছে ফসলি ক্ষেত।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান নদীর পানি বেড়েছে। এতে করে নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পরিবার ও ডুবে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি ক্ষেত।

২০শে জুন, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৬ টায়, ৯ টায়, দুপুর ১২ টায় এবং বিকেল ৩ টায় যথাক্রমে ১০, ১৫, ২০ এবং ২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে যথাক্রমে ১৭, ১৭, ২০ এবং ২৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

অপরদিকে ধরলা নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরলার শিমূলবাড়ি পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায়, ৯ টায়, দুপুর ১২ টায় এবং বিকেল ৩ টায় যথাক্রমে ৩৪, ২৭, ২৪ এবং ২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ধরলায় গত ৪৮ ঘন্টায় প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, ফকিরপাড়া, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে বন্যা দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে ফসলি জমির ধানের বীজতলা, বাদাম, পাট, ভুট্টার ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে পচন ধরায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পাশাপাশি তিস্তা ও সানিয়াজান অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন ভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে চিনাতুলি, হরিণচড়া এলাকায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে স্থানীয়রা।দুইদিন ধরে পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে কয়েক’শ পরিবার। এখনো সরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তা করা হয়নি পরিবারগুলোকে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে।

বালিয়াকান্দির বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ব্যাচ ১৯৮৮ এর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত

বেড়েছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাটে ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩হাজার পরিবার পানি বন্দি

আপডেট সময় ০৭:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান নদীর পানি বেড়েছে। এতে করে নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পরিবার ও ডুবে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি ক্ষেত।

২০শে জুন, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৬ টায়, ৯ টায়, দুপুর ১২ টায় এবং বিকেল ৩ টায় যথাক্রমে ১০, ১৫, ২০ এবং ২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে যথাক্রমে ১৭, ১৭, ২০ এবং ২৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

অপরদিকে ধরলা নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরলার শিমূলবাড়ি পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায়, ৯ টায়, দুপুর ১২ টায় এবং বিকেল ৩ টায় যথাক্রমে ৩৪, ২৭, ২৪ এবং ২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ধরলায় গত ৪৮ ঘন্টায় প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, ফকিরপাড়া, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে বন্যা দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে ফসলি জমির ধানের বীজতলা, বাদাম, পাট, ভুট্টার ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে পচন ধরায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পাশাপাশি তিস্তা ও সানিয়াজান অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন ভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে চিনাতুলি, হরিণচড়া এলাকায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে স্থানীয়রা।দুইদিন ধরে পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে কয়েক’শ পরিবার। এখনো সরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তা করা হয়নি পরিবারগুলোকে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে।