রাজবাড়ীর কালুখালীতে সকিনা বেগম(৪০) নামে এক প্রসূতি মা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা ও তিন নবজাতক সুস্থ আছেন বলে জানিয়েন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
২৪শে জুন, সোমবার দিবাগত রাত ১১টায় পাংশা উপজেলার শহরের পাংশা আধুনিক ক্লিনিকের গাইনী কনসালটেন্ট ডাঃ আকতিনা হানি সুমনা তত্ত্বাবধানে ফুটফুটে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে মা ও বাচ্চারা সকলেই সুস্থা রয়েছে।
জানা গেছে, প্রসূতি সকিনা বেগম কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণাডাঙ্গী গ্রামের কৃষক মো: বিল্লাল খানের স্ত্রী। বিল্লাল-সকিনা দম্পতির আরও ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তান রয়েছে। এদিকে একই সাথে তিনটি বাচ্চা জন্ম ঘটনায় হাসপাতালে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
ক্লিনিকের চিকিৎসক জানান, তিন নবজাতকের ওজন যথাক্রমে ২ কেজি ২০০ গ্রাম, ২ কেজি এবং ১ কেজি ৫০০ গ্রাম।
সকিনা বেগমের স্বামী কৃষক বিল্লাল খান বলেন, তার স্ত্রীকে গত সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে পাংশা আধুনিক ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে রাত ১১টার দিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার ৩টি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে তিনটি ছেলে সন্তান হওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনরাও অনেক খুশি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তাকে একসাথে তিনটি বাচ্চার পিতা বানিয়েছেন বলে তিনি খুবই খুশি। একমাত্র কৃষি কাজের উপর ভরসা করেই সংসার পরিচালনা করি। তিনটি বাচ্চা হওয়ায় খরচও অনেক বেড়েছে। তবে সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা পেলে তার পরিবারের উপর চাপ কমবে।
পাংশা আধুনিক ক্লিনিকের গাইনী কনসালটেন্ট ডাঃ আকতিনা হানি সুমনা বলেন, সকিনা বেগমের নরমাল ডেলিভারি করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। তিন নবজাতক ও তাদের মা সুস্থ আছেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মা ও নবজাতকের সার্বিক দেখাশোনা করছে বলে জানান তিনি।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বলেন, রতনদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রসূতি সকিনা বেগমের একসঙ্গে ৩টি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের কেউ বা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। যদি ওই পরিবার থেকে কেউ যোগাযোগ করেন, তাহলে সরকারি সহযোগিতার সুযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।