রাজবাড়ীর সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা আঃলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড: আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী’র ৩২তম ও জেলা আঃলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড: সৈয়দ রফিকুস সালেহীন’র ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১শে জুলাই) বাদ আসর রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, ৩১শে জুলাই রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ এবং জেলা বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর ৩২তম মৃত্যু ও ২৬শে জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এ্যাড: সৈয়দ রফিকুস সালেহীন’র ২য় মৃত্যু ছিলো।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের মরহুম সাবেক দুই সভাপতির স্মৃতি বিজড়িত নানা ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আলোচনা সভার সভাপতি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপত্বি কাজী কেরামত আলী।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এমপি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, মরহুম এ্যাড: আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর মেয়ে সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও সহ-সভাপতি সালমা চৌধুরী রুমা, সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ শফিকুল আজম মামুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নওয়াব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উজির আলী শেখ সহ প্রমুখ।
এসময় রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম সফি, রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সহ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জেলা ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে মরহুম দুই নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন রাজবাড়ী আটাশ কোলনি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ সেলিম দেওয়ান।
জানা গেছে, মরহুম এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, গোয়ালন্দ মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আহবানে তিনি ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগের সরকারী চাকুরী(মুন্সেফ পদ) থেকে ইস্তফা দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে রাজবাড়ী-গোয়ালন্দ এলাকা থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৫ সালে রাজবাড়ী জেলা গভর্নর ছিলেন।
রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯২ সালের ৩১শে জুলাই হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।